পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নির্বাচনী প্রার্থীর কার্যালয়ের বাইরে দুটি পৃথক বোমা বিস্ফোরণে বুধবার কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোয়েটা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার এবং আফগানিস্তানের সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পিশিন জেলায় একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ের কাছে প্রথম হামলাটি ঘটে।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র জান আচাকজাই বলেন, আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচনের এক দিন আগে এই হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।
আচাকজাই আরো জানান, প্রায় ১২০ কিলোমিটার পূর্বে কিল্লা সাইফুল্লাহ শহরে ইসলামী জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-এফ (জেউইআই-এফ) দলের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ের কাছে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি আঘাত হানে৷ এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছে।
এ ছাড়া একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ‘ঘটনাটি শহরের প্রধান বাজারে ঘটেছে, যেখানে জেউইআই-এফের নির্বাচনী কার্যালয়কে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
এএফপির তথ্য অনুসারে, গত বছরের জুলাই মাসে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবারপাখতুনখোয়া প্রদেশে ডানপন্থী জেইউআই-এফ পার্টির একটি রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত হয়।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, নির্বাচনের প্রাক্কালে বুধবার নিরাপত্তা বাহিনীর অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি সদস্য মোতায়েন শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ৯০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার বিতরণ করেছে।
গণমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের ভোটের দৌড়ে একাধিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। অন্তত দুই প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং দেশজুড়ে হামলায় আরো ডজন খানেক মানুষ লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হবে৷ প্রায় ১৮ হাজার প্রার্থী জাতীয় এবং চারটি প্রাদেশিক পরিষদের আসনের জন্য দাঁড়িয়েছেন।
সিন্ধুর প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান রাফাত মুখতার বন্দর শহর করাচিতে বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’
এ জেড কে/
Discussion about this post