মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে তুমব্রু থেকে ১০০ জনকে টেকনাফের হ্নীলাতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঘুমধুম ইউপির তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।
বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ১১৩ জন জান্তা বাহিনীর বিজিপি সদস্য। পরে আশ্রিতদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় দেওয়া হয়। আজ তাদের মধ্যে ১০০ জনকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে টেকনাফের হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সীমান্তরক্ষীদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মিয়ানমারের সেনাদের গভীর সমুদ্র দিয়ে ফেরত পাঠানো হবে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠানোর বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাই এখন সমুদ্রপথে তাদের ফেরত পাঠানো হবে বলে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
এ এস/
Discussion about this post