বিশ্বের ৩২টি দেশের সিআইপিদের নিয়ে উম্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা।
সেই সাথে রেমিটেন্স সৈনিকদের নানা সমস্যা নিরসনে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ারও আহ্বান জানান তারা।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আমিরাতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দুবাই মিলেনিয়াম প্লাজা ডাউনটাউন হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরীসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে আসা সিআইপিরা তাদের বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন।
বক্তারা সিআইপিদের জন্য দেশে পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি, জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা, ওমানের ভিসা চালুর জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, বিনা খরচে সরকারকে প্রবাসীদের লাশ পরিবহনের দায়িত্ব নেওয়া। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বৃদ্ধি প্রবাসী শ্রমিক ও নারী কর্মীদের সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাংলাদেশ বিমানের টিকিট মূল্য কমানো ও প্রয়োজনে প্রবাসীদের জন্য সরকারের ভর্তুকি প্রদান এবং বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান
এ সময় প্রবাসীদের উত্থাপিত দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও একজন প্রবাসী। আপনারা যে দাবি দাওয়া দিয়েছেন, সেটি নিয়ে আমি আশির দশক থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। আপনাদের দাবি দাওয়া সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দিলে আমি সেটি নিয়ে সরাসরি কাজ করব। আপনাদের দাবি দাওয়ার সঙ্গে আমিও একমত পোষণ করছি। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। আমরা আরও দক্ষ কর্মী তৈরির ব্যবস্থা করব। আপনাদের সচেতনতা ও সহযোগিতা জরুরি বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে বিশ্বের ৮৫ জন সিএনপির হাতে সম্মান ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
এ এস/
Discussion about this post