সিলেট থেকে লন্ডনগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুয়াইবুর রহমান চৌধুরী নামের এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) সিলেট থেকে লন্ডনগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ছেড়ে যাওয়ার আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শুয়াইবুর । ফ্লাইট পার্সারের প্রাথমিক চিকিৎসায় কোনো সাড়া না পেয়ে তাকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়।
শফিউল আজিম বলেন, ‘ভদ্রলোক সুস্থই ছিলেন তবে যখন তিনি বললেন আমার একটু খারাপ লাগছে। তখন কিন্তু আমরা ফ্লাইটে ডাক্তার পেয়েছি এবং তারা চিকিৎসার জন্য সে সময় যা যা করা দরকার সেগুলো করেছে। তাকে অক্সিজেনও দেওয়া হয়েছিল। আমাদের কেবিন ক্রু, পাইলটসহ সবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল।’
নিয়ম অনুযায়ী, ফ্লাইটের কোনো যাত্রীর মেডিকেল জরুরি অবস্থা দেখা দিলে তখন উড়োজাহাজ থেকে মেডিকেল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সংকেত পাঠাতে হয় এবং সবচেয়ে নিকটতম বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য প্রস্তুত হতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় বিমানবন্দরের নিকটতম হাসপাতালগুলোকে সতর্ক রাখা হয় এবং অ্যাম্বুলেন্স ও প্যারামেডিকদের বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা হয়। যদিও বিমানের ওই ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের কোনো প্রস্তুতি নেয়নি।
এ প্রসঙ্গে শফিউল আজিম বলেন, ‘চিকিৎসার একপর্যায়ে ওই যাত্রী ভালো বোধ করছিলেন। সে সময় মূল গন্তব্যে পৌঁছতে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মতো ছিল। আমাদের আশা ছিল, গন্তব্যে নেমেই তাকে হাসপাতালে নিতে পারব। কিন্তু তার আগেই তিনি মারা যান। যখন তিনি মারা যান তখন আমাদের নামার কোনো সুযোগ ছিল না। কারণ, একবার যদি নামতে হয়, সেটার অনুমতিসহ অন্যান্য বিষয়গুলো আরও আগে থেকেই শুরু করতে হয়।’
ফ্লাইট লগ অনুসারে, আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় ওই যাত্রীকে মৃত বলে ধরে নিয়ে তার লাশটি একটি খালি সিটের সারিতে শুইয়ে দেয়া হয়। পরে মৃত যাত্রী নিয়েই ফ্লাইটটি লন্ডনে অবতরণ করে। হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটটি অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব নেয় এবং সংশ্লিষ্ট সবার সাক্ষাৎকার নেয়। এসব কারণে হিথ্রো বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি থেকে যাত্রী নামানোর আগে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেতে তাদের আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। যাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য লাশটি নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Discussion about this post