বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চুমুক রেস্টুরেন্টের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ভবনের তৃতীয় তালা ছাড়া প্রতিটি ফ্লোরে রেস্টুরেন্টে ছিল। নিচের তালায় দুটি খাবারের রেস্টুরেন্টে ছিল। এই জায়গায় প্রথমে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, প্রাথমিকভাবে চুমুক রেস্টুরেন্টের দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাচ্চি ভাই’র ম্যানেজারকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ মারা গেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ২০, নারী ১৮, শিশু ৮। ৪০টি মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। বাকি ছয়টি মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ডিএমপি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ৩৮টি মরদেহ স্বজনদের কাছে দেয়া হয়েছে। দুটি মরদেহ ফ্রিজে রাখা হয়েছে। ছয়টি মরদেহ চেনা অনেক কঠিন। তাদের চেনার জন্য কাজ চলমান রয়েছে।
কোন ভিকটিমের পরিবার থেকে এখনো অভিযোগ আসেনি। যদি কেউ অভিযোগ না দেয়, তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলেও জানান তিনি। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘যারা ব্যবসা করছেন, তারা শুধু ব্যবসার কথা চিন্তা করবেন না। মানুষের কথা মাথায় রাখা উচিৎ। যারা এই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের দায় নিতে হবে।’
এ এস/
Discussion about this post