বাংলাদেশের বৈচিত্রময় পর্যটন খাত ও সেবাগুলো বিশ্ববাজারে উপস্থাপন করতে প্রথমবারের মতো কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো পর্যটন মেলা। মেলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সৌন্দর্য ও সভ্যতাকে তুলে ধরাতে চেষ্টা করেছেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কুয়েতের আল শহীদ পার্কের অডিটরিয়ামে পর্যটন মেলার আয়োজন করে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
দেশের হস্তশিল্প, প্রাচীন যুগের ইতিহাস, শিল্প, সাহিত্য, কালচার, ঐতিহাসিক স্থানসমূহ তুলে ধরতে অডিটরিয়াম সাজানো হয় রঙ বেরঙের ফেসটুন ব্যানারে।
পর্যটন প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো নিয়ে নির্মিত অডিও-ভিজ্যুয়াল এবং রঙ্গিন পোস্টার, ব্যানার, ফটোগ্রাফ, বাংলাদেশের হস্তশিল্প ইত্যাদি প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ পর্যটন কেন্দ্রগুলো নিয়ে প্রকাশিত পুস্তিকা, ট্রাভেল ম্যাপ, ট্রাভেল গাইড ইত্যাদি প্রদর্শনীতে আগত অতিথিদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রদর্শনী শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল রাষ্ট্রদূত ও বিশিষ্ট অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পর্যটন খাতের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আতিথেয়তা উপভোগ করতে সবাইকে তাদের সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মেলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, এই মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরাসহ কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং চলতি এপ্রিল মাসে কুয়েতে বাংলাদেশ মিশন প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। বাংলাদেশ-কুয়েতের সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করতে বাংলাদেশে দূতাবাস, কুয়েত ২০২৪ সাল জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি এবং অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেছে। এরই অংশ হিসেবে এই পর্যটন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এফএস/
Discussion about this post