প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে বিশেষ সেল গঠন করা হবে। প্রবাসীরা দেশের বাইরে থেকে রেমিট্যান্স পাঠান অথচ নিজ দেশে তারা নানা হেনস্তার শিকার হন। এর প্রতিকারে প্রবাসীদের জন্য আলাদা সেল গঠন করা হবে বলে জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান
রোববার (১০ মার্চ) সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশির আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। তাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা করা হয়েছে, সামনে আরও করা হবে। বিদেশে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে প্রবাসীরা কাজ করছে। দেশে প্রবাসীদের সম্পত্তি যাতে কেউ জবরদখল করতে না পারে, প্রবাসীরা যাতে কোনো ধরণের হেনস্তার শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
দেশে রেমিটেন্সের গুরুত্ব অনেক বেশি। রেমিটেন্সের গুরুত্ব কখনও কমেনি, বরং বেড়েছে। প্রবাসীদের রেমিটেন্সের যে টাকা দেশে আসে এরমধ্যে দেড় থেকে ২ শতাংশ আর্থিক খাতে বিনিয়োগ হয়। বিনিয়োগে আরও অর্থায়ন আসা দরকার। দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের যে সমস্যা সেটা আমাদের জানালে সমাধান করা হবে। সমস্যা জানালে ব্যাংকের মাধ্যমে সমাধান করা হবে। আর যেখানে সরকারের সহযোগিতা দরকার সেটা করা হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু প্রবাসীদের জন্য এমন একটি সেল গঠন করেছিল। তখন প্রবাসীদের অনেক সুবিধা দেয়া হতো। প্রবাসীরা চাইলে ফেরার সময় ট্যাক্স ফ্রি কুকার, ফ্রিজ ও একটি গাড়ি নিয়ে আসতে পারতো। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসেন তারা প্রবাসীদের এ সেবা বন্ধ করে দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে প্রবাসীদের জন্য দেশে চারটি এনআরবি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আগে প্রবাসীদের ভোটাধিকার ছিল না। তাদের ভোটাধিকার দেয়া হয়েছে, ব্যবস্থা করা হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের। আগামীতে প্রবাসীদের জন্য আরও কাজ করা হবে।
প্রবাসীরা পুরো সিলেট বিভাগকে বদলে দিয়েছে জানিয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, এই বিভাগের মার্কেট, হোটেল, মসজিদ থেকে শুরু করে বড় বড় সব স্থাপনা প্রবাসীদের তৈরি। এক সিলেট দেখলেই বোঝা যায়, প্রবাসী রেমিট্যান্স কীভাবে দেশের চেহারা বদলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন প্রবাসী বলতে মানুষ শুধু যুক্তরাজ্যের প্রবাসীদের বুঝতো। এখন সারা বিশ্বে বাংলাদেশিরা ছড়িয়ে পড়েছে। এমন অনেক বাংলাদেশি আছে যাদের তৃতীয়-চতুর্থ প্রজন্ম এখন বিদেশে থাকে। এরা যাতে ছুটিতে অবকাশ যাপনের জন্য অন্য দেশে না গিয়ে নিজ দেশে আসে সে লক্ষ্যে দেশের পর্যটন খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, এনআরবির চেয়ারপারসন সেকিল চৌধুরী প্রমুখ।
এস আর/
Discussion about this post