নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ক্র্যাবের নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ

বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও ইন্ডিপেডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ক্র্যাব।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ক্র্যাব এই মিথ্যা মামলা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে নাজমুল সাঈদকে কোনো ধরনের হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়েছেন ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, একজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলা হওয়ায় ক্র্যাব এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে নাজমুল সাঈদকে হয়রানি করা যাবে না। ক্র্যাব দ্রুত এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

নাজমুল সাঈদ জানান, হাতবাড়ালে কীভাবে মাদকের দেখা মেলে তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণে অনুসন্ধানে যায় টিম তালাশ। অনুসন্ধানের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে হোটেল রুম বুক করা হয়। গোপন ক্যামেরায় সব ধারণও করে তালাশ। পরে পরিচয় দিয়ে রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে ক্ষেপে যান মালিক নোমানুল হক সাজিম। একপর্যায়ে তালাশ টিমের ওপর হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের ঘিরে ফেলে সাজিম বাহিনীর সদস্যরা। এরপর তালাশ টিমকে ভুয়া প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সাজিম। তার মাসিক মাসোহারা ভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাকবিতণ্ডার একটি খণ্ডিত অংশ দিয়ে তার অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়েন।

ইয়াবা কারবারি সাজিমের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বেশকিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করতে থাকে। অথচ পুরো ঘটনা উল্টো।

তিনি বলেন, ঘটনার পর জানা যায়, সাজিম ও তার পরিবার মিলে শহরজুড়ে গড়ে তুলেছেন অপরাধের সম্রাজ্য। সাজিমসহ তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে, ইয়াবা, ছিনতাই, চুরি ও দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে।

সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকাতেও রয়েছে তার নাম।

পরে মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করায় নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে ডিজিটাল সিকিউরিটিসহ মানহানির মামলা করা হয়েছে।

টিবি