মাস চুক্তিতে পকেটমারকে দেয়া হয় বেতন। তাও আবার যা-তা বেতন নয় , দেওয়া হয় কর্পোরেট সংস্থার মতো আকর্ষনীয় বেতন। মাসে তাদের দেয়া হচ্ছে ২০-৮০ হাজার টাকা । শুধু মোটা অঙ্কের টাকা নয় ,সেই পকেটমার পাবেন অন্য সুযোগ-সুবিধাও। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মালদা পুলিশ।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মালদার মানিকচকের গঙ্গার ওপারে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থানার মহারাজপুর গ্রাম। সাদা পোশাকে সেই গ্রামে গিয়ে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। মানিকচক থানায় পোস্টিং থাকার সময় তিনি এক কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের ওই গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন বেতন পাওয়া পকেটমারদের কথা।
ঝাড়খণ্ডের এই মোটা বেতনের পকেটমারদের কথা জানতে পেরে অবাক হন মালদার ওই পুলিশ আধিকারিক। সেখানকার এক গাড়ি চালকের কাছ থেকে তিনি পুরো বিবরণ জানতে পারেন। সেখানেই জানতে পারেন ঝাড়খণ্ডের ওই পকেটমার গ্যাংদের কথা।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০-৮০ হাজার টাকা বেতনের পকেটমার রয়েছে ঝাড়খণ্ডের ওই গ্রামে। এমনকি নাবালকদের এই পেশায় বেশি চাহিদা। কারণ তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের মায়া একটু বেশি থাকে। ধরা পড়ে গেলেও তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসতে পারে। এমনকি জনতা ধরে ফেললেও মারধর কম পড়ে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ রাজ্যে যে মোবাইল চুরি হয় তা চলে যায় মহারাজপুরে। তারপর তা প্যাকেটে ভরে মালদা হয়ে পাচার হয় বাংলাদেশে। যত ঝকঝকে মোবাইল তত তার চাহিদা।
জানা যায়, গাড়ি-বাড়িও আছে পকেটমারদের । তারা টার্গেট অনুযায়ী কাজ করে। বেতন নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। এমনকি ইনসেনটিভও পাওয়া যায়।
Discussion about this post