চলমান পরিস্থিতি ও ডলার সংকটের মধ্যে ডলারের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। গত এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডলার সংকটে আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ডলারের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আমদানিকারকরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও কাগজে-কলমে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনতে ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা, আগে যা ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, আগে যা ছিল ১১১ টাকা। তবে প্রবাসী আয়ে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারবে। ফলে প্রবাসী আয় পাঠালে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন উপকারভোগীরা।
ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময়ে সময়ে এই সংগঠন দুটি ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে। এ দুটি সংগঠন মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংক সংশ্লিষ্ট। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে তারা সময়ে সময়ে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এ দুই সংগঠন ডলারের দর নির্ধারণের দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন এই মুদ্রার দাম আগের তুলনায় কখনো কমানো হয়নি।
সভায় বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম এবং এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন জানিয়েছেন, আমদানি কমেছে এবং রপ্তানি বাড়ছে। এ ছাড়া চলতি হিসাবে এখন ঘাটতি নেই। এ জন্য ডলারের দাম ৫০ পয়সা করে কমানো হবে।
এই সভায় প্রায় ৪০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্য ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post