রিমালের পর যে ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগর দাপিয়ে বেড়াবে, আগেভাগেই তার নাম দেয়া হয়েছে আসনা। পাকিস্তানি আবহাওয়াবিদরা এই নামকরণ করেছেন। আসনার পর আসবে ঘূর্ণিঝড় ডানা, যার নামকরন করেছে কাতার। এরপর আসবে ঘূর্ণীঝড় ফেঙ্গাল। এর নামকরণ করেছে সৌদি আরব। ফেঙ্গালের পর আসবে শক্তি। যার নামকরন করেছে শ্রীলঙ্কা। এরপর আসবে মন্থর। নাম দিয়েছে থাইল্যান্ড। মন্থরের পর আসবে সেনিয়া। যার নাম দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সবমিলিয়ে ৬ বছরে আঘাত হানতে পারে এমন ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম আগেই ঠিক রাখা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত মহাসাগরের আশেপাশের না হওয়া সত্বেও কীভাবে বঙ্গোপসাগরীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো? আসলে এই নামকরণ করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা- ডব্লিউএমওর আঞ্চলিক কমিটির অধীনে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থা। সর্বমোট ৫টি আঞ্চলিক কমিটি রয়েছে। এগুলো হলো- ডব্লিউএমও টাইফুন কমিটি, ইএসসিএপি প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন, আরএ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি, আরএ-ফোর হারিকেন কমিটি এবং আরএ-ফাইভ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি।
সাধারণত ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঝড়গুলোর নামকরণ করে ১৩টি দেশ। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ওমান, ইরান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার।
ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মাত্রা কমাতে আগাম প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করাটাই ঘুর্নিঝড়ের নামকরণের উদ্দেশ্য। আক্রান্ত অঞ্চলের মানুষের কথা ভেবে সতর্কতার সুবিধার্থে নামটি নির্বাচন করা হয়। যাতে করে খুব সহজেই নামটি বুঝতে ও মনে রাখতে পারে মানুষ।
এস আর/
Discussion about this post