সম্প্রতি চাঁদপুরের একজন চিকিৎসক তার প্রেসক্রিপশনে দিনে তিন বার করে একটানা তিন মাস কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ধরনের ব্যবস্থা লিখে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যদিও সাধারণত চিকিৎসকেরা প্রাপ্তবয়স্ক একজন ব্যক্তির জন্য প্রথম দিনে এক ডোজ, এরপর ৭ দিন পর অপর এক ডোজ ক্রিমির ওষুধ দেন। এরপর একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর পুনরায় কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেতে পারেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস ডিগ্রিধারী ডা. সুমাইয়া আজাদ প্রাপ্তি এ ব্যবস্থাপত্রটি দেন এক রোগীকে। সুমাইয়া আজাদ প্রাপ্তি সিএমইউ আলট্রা এবং বিএমডিসি (রেজি: এ-১৩০৩৮৮) নিবন্ধনকৃত। তিনি বর্তমানে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মজিদিয়া ট্রাস্টের আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্ত্রী, প্রসূতি গাইনি, মেডিসিন রোগের চিকিৎসক এবং সনোলজিস্ট হিসেবে নিয়মিত রোগী দেখছেন।
যদিও প্রেসক্রিপশনে লেখা নিজের এমন ভুল স্বীকার করতে নারাজ তিনি। সুমাইয়া আজাদ প্রাপ্তি জানান, এটা স্লিপ অব পেন। ক্যালসিয়ামের ওষুধ এলজেনটা ডিএস লিখতে চেয়েছেন। সেটা অসাবধানতাবশত এলবেন ডিএস হয়ে গেছে।
এদিকে ডা. সুমাইয়া আজাদ প্রাপ্তির দেওয়া প্রেসক্রিপশনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে। নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একাধিক ফার্মেসির পরিচালক জানিয়েছেন এমন ভুল তিনি একাধিকবার করেছেন, কখনো ট্যাবলেট-ক্যাপসুলের জায়গায় সিরাপ আবার সিরাপের জায়গায় ট্যাবলেট লিখেছেন।
এ বিষয়ে মজিদিয়া ট্রাস্ট আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। ব্যবস্থাপত্র লেখার সময় চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
এ এস/
Discussion about this post