ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে হঠাৎ করেই নতুন দাবির কথা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সৈন্য প্রত্যাহার, ন্যাটোতে যুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগসহ ৩টি শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রায় আড়াই বছর ধরে চলছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। এরইমধ্যে কিয়েভের বেশ কয়েকটি অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়েছে মস্কো। আর রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন সেনারা। বিশ্ব অঙ্গন থেকে দ্বন্দ্ব শেষ করার আহ্বান জানানো হলেও পাত্তা দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।
তবে এবার যুদ্ধ শেষ করতে নতুন শর্তের কথা জানালেন ভ্লাদিমির পুতিন। এজন্য ইউক্রেনকে মানতে হবে ৩টি শর্ত। শুক্রবার (১৪ জুন) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রদূতদের সামনে পুতিন এই শর্তের বিষয়টি সামনে আনেন।
পুতিন বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যে মুহূর্তে কিয়েভ (চার প্রদেশ থেকে) সেনা প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আর চেষ্টা করবে না বলে ঘোষণা দেবে, ঠিক তখন থেকে আমরা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনা এবং ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নেয়া শুরু করব।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ আফ্রিকায় মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যু
তবে পুতিনের এই শর্তের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তিনি বলেন, ইউক্রেন নিয়ে কোনো দাবি জানানোর মতো বা যে যুদ্ধ তিনি শুরু করেছেন তা আজই শেষ করার মতো অবস্থায় নেই পুতিন।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পুতিন যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা বিশ্বাস করার মতো নয়। তার শর্ত মেনে নিয়ে যুদ্ধবিরতিতে গেলেও তিনি হামলা বন্ধ করবেন না।
পুতিনের দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনের সেনাদের পুরো দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চল ছাড়তে হবে। এগুলোকে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার অঞ্চল ঘোষণা করা হলেই বিষয়টিকে শেষ বলে মেনে নেবে রাশিয়া। এছাড়াও যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সব তুলে নিতে হবে বলেও জানান পুতিন।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাশিয়ার ব্যাংক খাতে নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া রুশ স্টক এক্সচেঞ্জ, চিপ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এ এ/
Discussion about this post