কুরবানির ঈদে অনেক সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে গরু-ছাগল পাঠানো হয়। এটি বিভিন্ন এলাকায় প্রচলনও আছে। অনেকে শ্বশুরবাড়ি থেকে গরু-ছাগল পাঠানোকে এক প্রকার আবশ্যকীয় প্রথা বানিয়ে নিয়েছেন। কুরবানির পশু পাঠাতে না পারলে মেয়ের অনেক কথাও শুনতে হয়। এ সম্পর্কে ইসলামের পরিষ্কার নির্দেশনা আছে। এ ধরনের প্রচলন সম্পূর্ণ নাজায়েজ। এর সঙ্গে কুরআন ও সুন্নাহর কোনো সম্পর্ক নেই।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোনো মুসলমানের মনঃসন্তুষ্টি ছাড়া তার সম্পদ অন্যের জন্য কোনোভাবেই হালাল হবে না। (সহিহুল জামে: ৭৬৬৫)
আরও পড়ুনঃ একদিন আগেই ঢাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
কুরবানি স্বাভাবিক কোনো আমল নয়, বরং এর সঙ্গে মিশে আছে তাৎপর্য। পশু জবাই করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অফুরন্ত সুযোগ। অথচ আমরা শ্বশুরবাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে পশু নিয়ে থাকি। এতে সওয়াব অর্জনের বদলায় গুনাহ হবে। অনেকে ঋণ করে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গরু-ছাগল পাঠান। ন্যূনতম আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি শ্বশুরবাড়ির পাঠানো গরু-ছাগল দিয়ে কুরবানি দিতে পারেন না।
এ এ/
Discussion about this post