আর মাত্র একটা দিন। তারপরই কোরবানি ঈদ। যে কোনো ঈদকে ঘিরেই আয়োজনের ব্যস্ততা থাকে। তবে এই ঈদের ব্যস্ততার চিত্র একটু ভিন্ন। অনেকটাজুড়ে থাকে রান্নাবান্না, কাটাকুটি, হেঁশেল সামলানো, মেহমান আপ্যায়ন। মাংস কাটাকুটি, মাপামাপি, বিতরণ, সংরক্ষণ তো আছেই। অনেকেই ঈদের এই দিনটিকে নিয়ে ভিশন চিন্তায় পরে যান। তবে ঈদের দিনের কাজগুলো সহজ করে তোলার জন্য প্রয়োজন কিছু পূর্ব প্রস্তুতির। আসুন জেনে নিই কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস্ যা আমাদের কাজগুলোকে কিছুটা হলেও সহজ করে তুলবে।
* রান্নায় তাজা মশলার গন্ধ পছন্দ করেন? তাহলে এখনই আদা-রসুন ছিলে, কুচিয়ে না ধুয়ে এয়ার টাইট বক্সে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। ঈদের দিন ব্লেন্ডারে পিষে নিলেই তাজা মশলা তৈরি।
* মাংসের মসলা, বিরিয়ানির মসলা, নেহারির মসলা ঘরে আগেই বানিয়ে সংরক্ষন করে রাখতে পারেন। ঘরে তৈরি মসলা ব্যবহার করলে চমৎকার সুঘ্রাণ আসে তরকারিতে।
* মাংস রান্নায় পেঁয়াজ একটু বেশিই লাগে। আগে থেকে কিছু পেঁয়াজ ব্লেন্ডারে পিষে বক্সে করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। বেরেস্তা করতে অনেকটা সময় লাগে। এ জন্য এখনই পেঁয়াজ কুচি করে বেরেস্তা করে এয়ার টাইট জারে ভরে ফ্রিজে রাখুন।
*কোরবানি ঈদের দিন মাংস নিয়েই যেহেতু ব্যস্ততা বেশি দেখা যাই । সেহেতু ঈদের আগের দিন মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো যেমন সেমাই, পুডিং, পায়েস তৈরি করে রাখতে পারেন।
* কোরবানির মাংস ছাড়াও যেসব খাবার রান্না করবেন যেমন মুরগির রোস্ট, কাবাব এগুলো কিন্তু আগেই করে রাখতে পারেন। অথবা মুরগির রোস্টের মাংস ভেজে রাখুন, মাংস মেরিনেট করে রাখুন, শামি কাবাব বা চপ তৈরি করে ফ্রোজেন করে রেখে দিতে পারেন।খাওয়ার আগে ফ্রিজ থেকে বের করে ভেজে নিন।
* ডিপ ফ্রিজের উপর চাপ পড়ে কোরবানির ঈদে। তাই এখনই ফ্রিজ পরিষ্কার করে ফেলুন। ডিপ ফ্রিজের ওপর চাপ কমান। এ সময় বাজার করার সময় ডিপে রাখতে হয় না এমন জিনিস কেনাকাটা করুন।
* কোরবানির আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র যেমন চাটাই, পাটি ও দাঁড়িপাল্লার ব্যবস্থা করতে ভুলবেন না। কোরবানি পরবর্তী সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং পাউডারও কিনে রাখুন। ছুরি, বটির ধার করাতে হলে এখনই করে নিন।
* মাংস বিতরণ ও সংরক্ষণের জন্য জিপলক ব্যাগ বা পলিব্যাগ কিনে রাখুন।
* ঈদের দিন আতিথেয়তার জন্য যেসব বাসনপত্র লাগবে সেগুলো বের করে ধুয়ে, মুছে গুছিয়ে রাখুন। বাড়ির সকলকে নিজেদের থালা-বাসন নিজেদের ধুয়ে রাখতে অনুরোধ করুন। এতে থালা-বাসন বেসিনে জমা পরবে না ফলে আপনার কাজও বাড়াবে না।
*বারবার শরবত তৈরির ঝামেলা এড়াতে আগে থেকেই তৈরি করে রাখতে পারেন লাচ্চি বা ফলের জুস । ডেজার্ট হসেবে পরিবেশনের জন্য আইসক্রিম বা মিষ্টি কিনে রাখুন। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খাবার ভালোই লাগবে এই গরমের দিনে।
* ঈদের দিন কুচি কুচি করে সালাদ তৈরির ঝামেলায় যাবেন না। শশা, টমেটো গোল গোল করে কেটে পরিবেশন করুন।
সঙ্গে আচার রাখতে পারেন এবং আগে থেকে তৈরি করে রাখতে পারেন বোরহানি যা ফ্রিজে সাতদিন পর্যন্ত রাখা যাবে।
* রান্নার জন্য হাড়িকুড়ি যা লাগবে সেগুলো মেজে ভালভাবে হাতের কাছে রাখুন। রান্নাঘরটাকেও ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে নিন। এতে ঈদের দিনের চাপ অনেকটা কম মনে হবে এবং কাজ করতে অনেকটা আরাম বোধ হবে।
এস আই
Discussion about this post