স্কুলের গণ্ডি পেরুলেই খুব একটা মনে থাকে না স্কুল জীবনের বন্ধুদের। পেশাগত ব্যস্ততার সাথে বাড়ে দায়িত্ব, এ কারণেই হয়তো ইচ্ছে থাকলেও যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয় না বন্ধুদের সাথে। তবে, বন্ধুরা একত্রিত হোন যেকোনো উপলক্ষকে কেন্দ্র করে। তবে, ব্যতিক্রম ফেনীর দাগনভূঞার রাজাপুর হাইস্কুলের ২০০০ সালের ব্যাচের বন্ধুরা। শুধু উপলক্ষ নয়, প্রতিটি সময়ই রাখেন একে অপরের সাথে যোগাযোগ। বেরিয়ে পড়েন আনন্দ ভ্রমণে।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। গত ২০ জুন অর্থাৎ ঈদের তৃতীয় দিন বন্ধুদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। এতে যোগ দেন ২০০০ ইউনিটির প্রায় ৩০ জন বন্ধু। সমুদ্রের নোনা জ্বলে মাতোহারা হোন বন্ধুরা। হারিয়ে যান অন্যরকম অনুভূতিতে।
জানা যায়, রাজাপুর ২০০০ ইউনিটির বন্ধুরা ফেনীর বন্ধু সংগঠনের মধ্যে অন্যান্য দৃষ্টি স্থাপন করেছেন। এলাকাবাসী, স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।
তারা যে শুধু আনন্দ ভ্রমণেই সীমাবদ্ধ থাকেন এমনটি নয় , যেকোনো সামাজিক কার্যক্রমে থাকেন সবার আগে। এলাকাবাসীর বিপদে-আপদে পাশে থাকেন এই ইউনিটের সদস্যরা। করোনাকালেও তাদের ভূমিকা ছিল প্রসংশনীয়।
সংগঠনের সদস্যরা জানান, বন্ধু মানে একটি শক্তি। সবাই মিলে যেকোন কাজ করলে কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়। ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়, বন্ধুরা একত্রিত থেকে এলাকাবাসীর উন্নয়নই তাদের মূল লক্ষ্য।
জানা যায়, বন্ধুদের অনেকেই আছেন প্রবাসে, দূর দেশ থেকেও ধরে রেখেছেন বন্ধুত্বের বিরল দৃষ্টান্ত। যেকোনো মুহুর্তেই পাশে পাওয়া যায় তাদেরও।
এছাড়া বন্ধুদের অনেকে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এলাকার উন্নয়নে তারও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। তাইতো যেকোনো প্রয়োজনে অন্যের উপর নির্ভরশীলতা নয়, বরং তাদের সহযোগিতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন তারা।
বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক টিকে থাকুক যুগের পর যুগ এমনই প্রত্যাশা তাদের।
Discussion about this post