মো: ইসমাইল হোসেন (২২) । পরিাবরের হাল ধরতে ১১ মাস আগে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় যান। আশা ছিল আয়-রোজগার করে পরিবারের পাশে দাড়াবেন। কিন্তু সেটি আর হলো না।রাতে কাজ শেষে বাসায় আসার পর বুকে ব্যাথা উঠে। পরে রুমের লোকজন হাসপাতালে নেয়ার সময় মারা যায় ইসমাইল।
নিহতের পরিবার জানায়, শুক্রবার (২১ জুন) মালয়েশিয়া সময় রাত ৩ টায় অসুস্থ হয়ে মারা যান ইসমাইল। তার বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ৫ নং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নে। তার বাবার নাম মো: হোসেন বেপারি। নিহত ইসমাইল ৫ ভাই বোনের মধ্যে ৪র্থ ছিলেন। গেল ১১ মাস আগে বড় ভাই শামীম উসমানের সহযোগিতায় কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় গেছে।
নিহতের বড় ভাই শামীম উসমান জানায়, মালয়েশিয়ার শাহ আলমের একটি কসমেটিকের দোকানে কাজ করতেন ইসমাইল। রাতে কাজ শেষে বাসায় আসার পর বুকে ব্যাথা উঠে। পরে রুমের লোকজন হাসপাতালে নেয়ার সময় মারা যায় ইসমাইল।
নিহতের পিতা মো: হোসেন বেপারী এই ঘটনায় বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। এতো আল্প বয়সে মারা যাওয়ার ঘটনা মানতে পারছে না পরিবার। নিহতের মা বোনের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে পরিবেশ। সকাল থেকে ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে ভীড় করছে এলাকার মানুষ।
এদিকে এ ঘটনায় তার গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ৬ নং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের মেম্বার পদপ্রর্থী মো: মাসুদ রানা বলেন, নিহত ইসমাইল হোসেন এলাকার সবচেয়ে ভদ্র এবং নম্র ছেলে ছিল। পরিবারের হাল ধরতে সে প্রবাস জীবন বেছে নেয়। কিন্তু এভাবে এতো আল্প বয়সে মারা যাবে আমরা ভাবতে পারিনি। এখন এলাকাবাসীর পক্ষে থেকে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে তার মৃতদেহ যতদ্রুত সম্ভব দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
টিবি
Discussion about this post