ইতালিতে অবৈধপথে যাবার সময় লিবিয়ায় মাফিয়াদের হাতে মাদারীপুরের একই গ্রামের অর্ধশত যুবক জিম্মি হয়েছে। মোবাইলে অডিও বার্তা পাঠিয়ে দালালরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ভিটেমাটি বিক্রি করে টাকা দিয়েও মিলছে না মুক্তি। প্রশাসন বলছে, দূতাবাসের মাধ্যমে যুবকদের ফিরিয়ে আনতে নেয়া হয়েছে পদক্ষেপ।
লিবিয়ায় মাফিয়াদের হাতে জিম্মি এই যুবকদের তালিকায় রয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামের মতলেব ফকিরের ছেরে শাকিব ফকির, বাদশা হাওলাদারের ছেলে হাসান হাওলাদার, সালাম হাওলাদারের ছেলে নুর আলম হাওলাদার, জব্বার হাওলাদারের ছেলে বেল্লাল হাওলাদার, মোক্তার মোল্লার ছেলে জসিম মোল্লা সহ অর্ধশত যুবকের নাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম। এই গ্রামের যুবক হাসান হাওলাদার। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভাগ্য ফেরাতে অবৈধপথে ইতালি যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। ঢাকা থেকে লিবিয়া পৌঁছে ধরা পড়েন মাফিয়াদের হাতে। পরে বাবা বাদশা হাওলাদার ও মা রহিমা বেগমের মোবাইলে পাঠানো হয় নির্যাতনের অডিও বার্তা। মুক্তিপণ হিসেবে মাফিয়ারা দাবি করেন ৩০ লাখ টাকা। সন্তানকে বাঁচাতে ভিটেমাটি বন্ধক রাখার পাশাপাশি চড়া সুদে দফায় দফায় ২২ লাখ টাকা এনে তুলে দেন স্থানীয় দালালদের হাতে। তবে, হাসানের দেশে ফেরা এখনও অনিশ্চিত।
একইভাবে বালিয়া গ্রামের অর্ধশত যুবক ভাগ্য ফেরাতে ইতালি যাবার পথে লিবিয়ায় জিম্মি মাফিয়াদের হাতে। এসব যুবককে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তবুও মিলছে না মুক্তি। আদরের সন্তানদের ফিরে পেতে সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন স্বজনরা।বিষয়টি নিয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘লিবিয়ায় যুবকদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করা হচ্ছে- এমন তথ্য এখনও থানায় নেই। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, ‘দূতাবাসের মাধ্যমে লিবিয়ায় বন্দি যুবকদের ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বন্দি যুবকদের পরিবার মামলা করলেও তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
এস এম/
Discussion about this post