জুন মাসের শুরুতেই ঘোষণা করা হয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল। গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। শপথ নেবেন নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা।
আর এ লক্ষ্যেই নিট-নেট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ভারতে শুরু হচ্ছে পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন। সোমবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার থেকে দেশটিতে শুরু হচ্ছে নতুন সংসদের অধিবেশন। মূলত এটি সংসদের বিশেষ অধিবেশন হতে চলেছে যেখানে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সদস্যরা সংসদ সদস্য হিসাবে সংসদে শপথ নেবেন। এই অধিবেশনেই সংসদের দুই কক্ষের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু।
লোকসভা নির্বাচনের পর ইতোমধ্যেই গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। এবার সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার পালা। সোমবার
লোকসভার অধিবেশন শুরুর আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর তত্ত্বাবধানে প্রোটেম স্পিকার হিসেবে শপথ নেবেন ওডিশার কটকের সাতবারের সংসদ সদস্য ভর্তৃহরি। তারপর অন্যদের শপথ গ্রহণ হবে। তবে প্রোটেম স্পিকার হিসেবে ভর্তৃহরির নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক প্রথম অধিবেশনে ছায়া ফেলতে পারে। এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে বিরোধীরা। তারা অভিযোগ করেছে যে এই পদে কংগ্রেস সদস্য কোডিকুনিল সুরেশ বেশি যোগ্য ছিলেন। কিন্তু সে দাবি সরকার উপেক্ষা করেছে।
সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়া হয়ে গেলে ২৬ জুন লোকসভার স্পিকার নির্বাচন হবে। এ পদে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট কাকে নির্বাচন করবে, তা এখনো প্রকাশ করেনি। আগের লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এবার এনডিএ কোন কৌশল নেবে, তা ঠিক হয়নি। স্পিকার নির্বাচনের পর ২৭ জুন লোকসভা ও রাজ্যসভার যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি। আগামী ২ বা ৩ জুলাই সংসদের বিতর্কে অংশ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম অধিবেশন চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত।আগামী ২২ জুলাই থেকে বাজেট পেশের জন্য ফের অধিবেশন শুরু হতে পারে।
এদিকে নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ ও অধিবেশন শুরুর মাঝে রেল দুর্ঘটনা, একাধিক সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা সামনে আসায় বিরোধী শিবির বেশ উজ্জীবিত। প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, এসপি বা ডিএমকের মতো দল একজোটে ময়দানে নামতে প্রস্তুত।
সংসদের শুরুর দিনে বিরোধীরা কোনও বৈঠক না করলেও, ঠিক হয়েছে সোমবার সকালেই বিরোধী ইনডিয়া জোটের সংসদ সদস্যরা হাতে সংবিধান নিয়ে একসঙ্গে সংসদের দুই নম্বর দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। মূলত অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই জোটের বার্তা দেওয়াই এর লক্ষ্য।
ফলে তৃতীয়বার জিতে এসেও অধিবেশন শুরুর আগে রীতিমতো ব্যাকফুটে রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
মূলত গত দু’টি লোকসভা নির্বাচনে একক ভাবে জয়ী হতে পেরেছিল জেপি। কিন্তু এবারের চিত্র একটু ভিন্ন। বিজেপি সরকার এবার শরিক নির্ভর। ফলে প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল হওয়ায় গোড়া থেকেই পাল্টা-আক্রমণের পথে এগোনোর কৌশল নিয়েছে বিরোধী দলগুলো।
এস এম/
Discussion about this post