পবিত্র হজ পালনে গিয়ে এ পর্যন্ত ৪৭ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২৩ মে) রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিনে আরও জাননো হয়, হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। ২০ জুন শুরু হয়েছে ফিরতি ফ্লাইট। এ পর্যন্ত ৩৮টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৮১৬ হাজি।
হজ বুলেটিন থেকে জানা গেছে, হজ পালনে গিয়ে সৌদি আরবে মারা যাওয়া বাংলাদেশির মধ্যে পুরুষ ৩৬ ও নারী ১১ জন।
সৌদি আরবের হজ আইন অনুযায়ী, অন্য দেশ থেকে কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মারা গেলে তার লাশ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় না। ওই ব্যক্তির লাশ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। এ ক্ষেত্রে মৃতের পরিবার হজযাত্রীর লাশ দেশে পাঠানো বা এ-সংক্রান্ত কোনো সুপারিশ সৌদি সরকারকে করতে পারবে না। আর করলেও তা সৌদি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে আইনে উল্লেখ আছে। হজযাত্রীদের কেউ যদি মক্কায় মারা যান, তাহলে মক্কার রুশাইফায় লাশের গোসল ও কাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
আর মদিনা ও জেদ্দায় মারা গেলে গোসল ও কাফনের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। একইভাবে মক্কা, মিনা ও মুজদালিফায় অবস্থানরত কোনো হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারাম বা কাবা শরিফে জানাজা হয়। আর মদিনায় মারা গেলে মসজিদে নববিতে জানাজা হয়। এ ছাড়া জেদ্দা বা অন্য কোনো স্থানে হাজির মৃত্যু হলে সেখানকার স্থানীয় মসজিদে তার জানাজা হয়। মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ বা মৃতের জন্মভূমির সরকারের লাশ দাফনের পুরো প্রক্রিয়ায় কোনো খরচ করতে হয় না। সৌদি সরকারই সব খরচ বহন করে।
হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে জানা যায়, সৌদি থেকে ৩৮টি ফ্লাইটে ১৪ হাজার ৮১৬ হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১৩টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
টিবি
Discussion about this post