নিজেদের ব্র্যান্ড ও পণ্যগুলোর গুণগত মানের দিকে নজর দিতে বোতলজাতকরণের ব্যবসা থেকে সরে আসছে বিশ্বখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক কোকা-কোলা। বিশ্বজুড়ে নিজেদের পানীয়গুলোর বোতলজাতকরণের ব্যবসা বটলিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ (বিআইজি) নামে একটি অধীনস্থ সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনা করতো কোকা-কোলা।
প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ এক নোটের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, বিআইজির করপোরেট অফিস ৩০ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও তারা স্বাধীনভাবে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
বিআইজির করপোরেট অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় বোতলজাতকরণের কার্যক্রম কোকা-কোলার অভ্যন্তরীণ বোর্ডের হাতে চলে যাবে।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বটলিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ (বিআইজি)। এটি সম্পর্কে কোকা-কোলার ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু অংশে আমাদের বোতলজাতকরণের কার্যক্রম রয়েছে। তবে ‘সঠিক সময়ে, সঠিক মূল্য প্রস্তাবসহ সঠিক অংশীদার’ খোঁজার মাধ্যমে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বোতলজাতকারক হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
কোকা-কোলা ইন্ডিয়ার মালিকানাধীন বোতলজাতকারক কোম্পানি হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজেস (এইচসিসিবি)। কোম্পানিটিকে এতদিন নিয়ন্ত্রণ করতো বিআইজি।
ভারত ছাড়াও বিআইজির অন্য বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ওমান এবং আফ্রিকা।
এইচসিসিবি’র কী হবে?
১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরু করা হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজেস ভারতজুড়ে সাড়ে তিন হাজার পরিবেশকের মাধ্যমে ২৫ লাখ খুচরা বিক্রেতাদের কাছে নিজেদের পণ্য সরবরাহ করে থাকে। ভারতে তাদের মোট ১৬টি কারখানা ছিল। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রাজস্থান, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ব্যবসা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয় তারা। এ থেকে প্রায় ২ হাজার ৪২০ কোটি কোটি রুপি আয় করে সংস্থাটি।
কেন বোতলজাতকরণ থেকে সরে আসছে কোকা-কোলা?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোকা-কোলা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিআইজির আকার ছোট করার চেষ্টা করছে। ধীরে ধীরে বোতলজাতকরণ কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে তারা। ব্র্যান্ডটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা এবং বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য কোকা-কোলা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এ এ/
Discussion about this post