মেহেদী হাসান হৃদয়। কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মাইজকার ইউনিয়নের আওড়াল গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। অনেক কষ্ট করে ২০১৮ সালে সন্তানকে কুয়েত পাঠান তার পিতা। কুয়েতে ইলেকট্রিকের কাজ করতেন তিনি। জীবনটা যে করেই করেই চলছিলো বেশ।
প্রেম করে বিয়ে করছিল হৃদয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তার সংসার অশান্তি লেগেই থাকতো। প্রায়ই তাদের কলহ ,বাকবিতণ্ডা সীমা ছাড়াতো আর অনেকবার চেষ্টা করেও তা ঠিক করতে পারেন নি বলে জানান পরিবারের অন্য সদস্যরা। আর এর জের ধরেই আসলো নির্মম পরিণতি।
হৃদয়ের ভাই বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শেষবার তার কথা হয়। এর আধা ঘণ্টা পর সাড়ে ৯টার দিকে তার বাবা কল করেন তাকে। তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো অন্য সব বারের মতো তাঁর খবর নিতেই কল করেছেন বাবা। কিন্তু বাড়ি বয়ে এলো চরম দু:সংবাদ। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান তারা।
বাবা কল করে জানান, ভিডিও কলে তার ভাই হৃদয় স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে নিজেকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলায়। তিনি আকস্মিক শব্দে দৌড়ে হৃদয়ের কক্ষে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ততক্ষণে সে আর জীবিত নেই।
হৃদয়ের এক বন্ধু বলেন, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও তার সঙ্গে কথা বলেছে। তখন তাকে একেবারেই স্বাভাবিক মনে হয়ছে। পরে শুনেন অবাক করা এ কাণ্ড । তার মৃত্যুর খবর বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বন্ধু বান্ধবরা। পারিবারিক কলহের কারণে সে এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
কুয়েতে প্রবাসী মেহেদী হাসান হৃদয় নামের ২৫ বছর বয়সের এক বাংলাদেশি যুবক স্ত্রীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলা অবস্থার এ ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। গত ২৫শে জুন দেশটির কাবাদ এলাকায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে গত পহেলা জুলাই।
এস আর/
Discussion about this post