বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ‘ভারতবিরোধী’ স্লোগান এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘অপমান’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দুসহ বিজেপি নেতৃত্ব।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে বিজেপি নেতারা। সংগৃহীতস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাস্তায় ছাত্রদের আন্দোলন চলাকালীন ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়া এবং আরও কিছু ঘটনার ছবি ও ভিডিও বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে জমা দিয়েছেন বিজেপি নেতারা।
শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপির ২০ জনের প্রতিনিধি দল সোমবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে গেলে সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। শেষে ডেপুটি হাইকমিশনার বেরিয়ে এসে শুভেন্দুদের ভেতরে নিয়ে যান।
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের আন্দোলন থেকে ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়ে তিনি বলেন,
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা নেই। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নই। যারা রোহিঙ্গাদের বলে সিএএ হবে না, আমার দরজা খোলা আপনাদের জন্য। আমরা ভারতবিরোধী স্লোগানের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছি।
শুভেন্দু আরও বলেন,
ভারত আমাদের মা। ভারতবিরোধী মন্তব্য বা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হলে তা বরদাস্ত করব না।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, চন্দনা বাউড়ি, অগ্নিমিত্রা পালসহ ২০ জন। ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে পুলিশের ব্যারিকেড ছিল।
এর আগে পুলিশ বিজেপি নেতাদের জানান, আগাম না বলায় কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া যাবে না। এর পরই গোলমাল বাধে। শুভেন্দু একটি কাগজ দেখিয়ে দাবি করেছেন, শনিবার ২৭জুলাই অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। অনুমতি থাকলেও পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ তার।
শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘এখানে কোনো ব্যারিকেড থাকে না। রাজ্যে জঙ্গল-রাজ চলছে। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে পুলিশ অসভ্যতা করেছে, তাদের আইনের মধ্যে থেকে শিক্ষা দেব। দিনের পর দিন পুলিশ অসভ্যতামি করছে। এটা মেনে নেয়া হবে না।’
Discussion about this post