অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তায় সরকারবিহীন ৪ দিনের পর আপাতত স্বস্তি। অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ড. মোহাম্মদ ইউনুস। আপাতত অপেক্ষা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার। জনগণ সাধারণ জীবনে ফেরার অপেক্ষায় থাকলেও বিসিবির ভবিষ্যত এখনও অনিশ্চিত। সরকারের পালাবদলে বড় পরিবর্তনের আভাস ক্রিকেট বোর্ডে। গা বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন নীতিনির্ধারণী মহলের কর্তারা।
বিসিবি সভাপতি কিংবা নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান, সবাই আপাতত আত্মগোপনে। গা ঢাকা দিয়েছেন আওয়ামীপন্থী আরও অনেক কর্তা। অথচ ঘরের মাঠে মাস দুয়েক পরেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মেগা ইভেন্ট শেষমেশ হাত থেকে ফঁসকে যায় কিনা, সে শঙ্কা বাড়ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই খোঁজ নেই অধিকাংশ বিসিবি কর্তার। এমনকি দেশে যারা আছেন, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন না বোর্ড। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এতদিন প্রভাব বিস্তার করা কর্তারা আদৌ দেশে ফিরবেন কিনা, সে ব্যাপারেও প্রশ্ন জাগছে।
দেশে থাকা হাতেগোনা দুয়েকজন বোর্ড কর্তা বিশ্বকাপ আয়োজনের সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ। চলমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিরাপত্তা চেয়ে এরইমধ্যে সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বিসিবি।
সে চিঠির উত্তর না এলেও আইসিসির অপেক্ষা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি খুব গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নিরাপত্তা নিয়ে অস্থিরতা না কমলে হোস্ট হিসেবে নাম কাটা পড়তে পারে বাংলাদেশের। শনিবার (১০ আগস্ট) ভেন্যু নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাতে পারে আইসিসি।
১০ দল, ২৩ ম্যাচ আর ১৮ দিনের বিশ্বকাপ দুটি ভিন্ন ভেন্যুতে আয়োজনের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে এই মেগা ইভেন্ট হাতছাড়া হলে আর্থিক লোকসান তো হবেই, বিশ্ব ক্রিকেটে বাঘিনীদের ইমেইজও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এম/এইচ
Discussion about this post