ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত সপ্তাহে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানাগুলো পুরোদমে উৎপাদনে ফিরেছে। পণ্য আমদানি-রপ্তানিও স্বাভাবিক হচ্ছে। বিদেশি ক্রেতা প্রতিনিধিরা পুনরায় নতুন ক্রয়াদেশ দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা শুরু করেছে। স্থগিত থাকা ক্রয়াদেশও কমবেশি আসছে।
ব্যবসায় গতি ফিরতে শুরু করায় তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে তাঁরা বলছেন, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও পরবর্তী ঘটনার প্রভাবে আগামী মৌসুমের ১৫-২০ শতাংশ ক্রয়াদেশ ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অন্য দেশে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে ক্রেতাদের বার্তা দেওয়া দরকার। এ ছাড়া বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধি ও ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশের কারখানায় গ্রীষ্ম মৌসুমের পোশাক বেশি তৈরি হয়। অধিকাংশ ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এই মৌসুমের ক্রয়াদেশ প্রক্রিয়া জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন করে থাকে। এসব ক্রয়াদেশের পণ্য উৎপাদন শেষে নভেম্বর থেকে রপ্তানি শুরু হয়।
গ্রীষ্মকালীন পোশাকের ক্রয়াদেশ দেওয়ার সময়কাল বিবেচনায় আগামী দুই সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করলেন চট্টগ্রামের ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে পোশাক কারখানাগুলো ক্রয়াদেশের অনুসন্ধানে জর্জরিত। নমুনা পোশাক তৈরি ও উৎপাদন ব্যয় নিরূপণের কাজ চলছে। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে অনেক ক্রয়াদেশের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে ব্র্যান্ডগুলো। এই সময়ের মধ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। যাতে করে বাংলাদেশের ওপর বহির্বিশ্বের আস্থা তৈরি হয়। অন্যথায় ক্রেতারা অনিশ্চয়তায় ভুগবে। তাতে ক্রয়াদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এস এম/
Discussion about this post