বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ৪৪তম প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে । এতে বাংলাদেশের সাফল্য বয়ে এনেছেন দুই হাফেজ।
মোট ১২৩টি দেশের ১৭৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৪র্থ গ্রুপে ১ম স্থান অর্জন করেছে মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকার কিতাব বিভাগের কৃতি ছাত্র হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। পাশাপাশি একই প্রতিযোগিতার ৩য় গ্রুপে ১ম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের আরেক প্রতিনিধি হাফেজ আনাস বিন আতিক্ব।
বুধবার এশার নামাজের পর (বাংলাদেশ সময় রাত বারোটার পর) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সৌদ বিন মিশাল বিন আবদুল আজিজ।
পাঁচ বিভাগে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সর্বমোট ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল পুরস্কার দেয়া হয়। পাঁচ ক্যাটাগরি হলো- ১. শাতেবি পদ্ধতিতে সাত কেরাতসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ, ২. তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ এবং একক শব্দগুলোর তাফসির, ৩. তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ, ৪. তাজবিদসহ ১৫ পারা হিফজ, ৫. তাজবিদসহ পাঁচ পারা হিফজ (শেষোক্ত বিভাগটি ওয়াইসিভুক্ত নয়- এমন দেশের জন্য প্রযোজ্য)। হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ১৫ পারা গ্রুপের প্রতিযোগী। তিনি মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম পরিচালিত মারকাযু ফয়জিল কোরআনের শিক্ষার্থী। তিনি সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ দেড় লাখ রিয়াল পুরস্কার লাভ করেন।
আর হাফেজ আনাছ ৩০ পারা গ্রুপের প্রতিযোগী। তিনি শায়খ নেছার আহমাদ আন নাছেরী পরিচালিত মারকাজুত তাহফিজের ছাত্র। এতে হাফেজ আনাছ সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ দুই লাখ রিয়াল পুরস্কার লাভ করেন।
প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধায়ক সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল লাতিফ বিন আবদুল আজিজ আল শায়খ জানিয়েছেন, এ বছরের প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে।
এস আই/
Discussion about this post