রোববার (২৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার ঘোষণা করেছে, আগের দিন গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে তিন রিজার্ভ সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে। মধ্য গাজায় নিহত ওই তিন সেনার মধ্যে দুইজন সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস এবং একজন হচ্ছেন সার্জেন্ট মেজর।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে বলেন, নিহতদের মধ্যে দুইজন বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারায় এবং প্রতিরোধ যোদ্ধারা গুলিবর্ষণ শুরু করলে তৃতীয়জন বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়।
এএফপি বলছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনী মধ্য গাজায় বিশেষ করে দেইর আল-বালাহ এলাকায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সাথে ভয়ঙ্কর লড়াইয়ে নিযুক্ত রয়েছে। গত বছরের ২৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্থল অভিযান শুরু করার পর থেকে সর্বশেষ এই মৃত্যুতে গাজা অভিযানে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রাণহানির সংখ্যা ৩৩৮ জনে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ।এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল,স্কুল, শরণার্থী শিবির , মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলে হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি আর ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে দেশটি
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এ ইউ/
Discussion about this post