কুমিল্লায় ভয়াবহ বন্যায় ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৬৭ হাজার মানুষ। এসব মানুষদের জন্য নানা খাদ্য সহায়তা এলেও খাদ্য সংকটে রয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা শিশুরা। শুধুমাত্র শুকনো বিস্কুট, আর কলা একমাত্র ভরসা এসব শিশুদের। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি ক্ষুধার্ত অধিকাংশ শিশু।
রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। জেলার বুড়িচং উপজেলার ফকিরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে দেখা গেছে, ওই আশ্রয়কেন্দ্রটিতে আশ্রয় নিয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে ১৫ জনের মতো ৫ বছরের নিচের শিশু রয়েছে। এসব শিশুরা সবসময় যে খাবারে অভ্যস্ত তারা এখন সেসব খাবার পাচ্ছে না।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা জেলাজুড়ে ৭১৪টি কেন্দ্রে ১৫ হাজার ৫৯ জন বিভিন্ন বয়সের শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এসব শিশুদের মধ্যে যাদের বয়স ৩ বছরের ওপরে তাদের শুকনো বিস্কুট ও কলা খাইয়ে কোনোরকম দিন পার করা গেলেও, যাদের বয়স ১ থেকে তিন বছরের মধ্যে সেসব শিশুদের নিয়ে মহা দুঃশ্চিতায় আছেন তাদের অভিভাবকরা।
কুমিল্লা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ূন কবির মাসউদ জানান, স্বাভাবিক সময়েও শিশুদের খাবারের প্রতি অনেক যত্নশীল হতে হয়। বন্যা কবলিত এলাকার শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই সরকারি/বেসরকারি যারাই ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন, তারা যেন অবশ্যই শিশুখাদ্যের প্রতি মনোযোগী হন। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, শিশুদের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছি।
Discussion about this post