প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যার কারণে ৪ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৬ অগাস্ট) রাত থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা চট্টগ্রাম- রুটে ট্রেন চলাচল। এ রুটের দুটি লেনের মধ্যে একটি লেনে ট্রেন চলাচল করছে। অন্যটির সংস্কারকাজ চলছে। তাই বন্ধ রাখা হয়েছে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, উদয়ন, চট্টলা, মহানগর, মেঘনা, কক্সবাজার ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের ৪টি ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। আরো ৪টি নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রেলস্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন। ৭টা ৫০ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। এরপর ৮টায় চাঁদপুরের সাগরিকা এক্সপ্রেস ও ১০টায় ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়।
এছাড়া বিকেল ৩টায় মহানগর গোধুলি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টায় আন্তঃজেলা নাজিরহাট লোকাল, রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ঢাকাগামী পর্যটন এক্সপ্রেস, ১১টা ৩০ মিনিটে একই রুটের তূর্ণা নিশীতা ও ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেইল ট্রেন চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে।
এছাড়াও বেলা ১২টার দিকে হাটহাজারী ও দোহাজারীর উদ্দেশে দুটি মালবাহী ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে।
এদিকে, বিকেল ৪টার কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ রাখা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস। চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৪টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় চাঁদপুরের উদ্দেশে যাওয়া মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস।
এর আগে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীতা চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে এ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপর রাত পৌনে ১২টায় ছেড়ে যায় একই রুটের চট্টগ্রাম মেইল।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আপাতত এক লেনে ট্রেন চলছে। আরেকটি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি সংস্কারের কাজ চলছে। মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিকভাবে সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করছে।
রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম) আনিসুর রহমান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে দুটি লেন আছে। স্রোতে একটি লেন (চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী লেন) বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যটি (ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী ডাউন লেন) তুলনামূলক কম। এটি সংস্কার করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। আজ থেকে সব কটি ট্রেন চলাচল করছে।
উল্লেখ্য, বন্যার পানিতে ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায় রেলপথ ডুবে যাওয়ায় ২২ আগস্ট থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এম/এইচ
Discussion about this post