চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকায় এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংঙ্কার পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় টাকা, স্বর্নালংঙ্কার ও স্ত্রীকে ফেরত পেতে গত বৃহস্পতিবার ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সৌদি প্রবাসী মাছুম রাব্বানী।
মাছুম রাব্বানী পৌর এলাকার কাছিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (২৩) একই উপজেলার ৯ নম্বর গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে মাছুম রাব্বানীর সঙ্গে বিয়ে হয় মরিয়ম বেগমের। এই দম্পতির পাঁচ বছরের ছেলে সন্তান আছে। স্ত্রী মরিয়ম বেগম তাঁর বাবার বাড়িতে ছিলেন। এ সময় রাজিব সিকদার ওরফে ইমন (২৭) নামের একজনের সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
গত ২১ আগষ্ট (বুধবার) চাঁন্দ্রা শিক্ষিত বেকার সমবায় সমিতি থেকে মাছুম রাব্বানী ও তাঁর ভাবি তাছলিমা বেগমকে জামিনদার করে ৪ লাখ টাকা তোলেন মরিয়ম বেগম। এরপর তাঁর ছেলে সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। এ ঘটনার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে ২৪ আগস্ট ছেলেকে তিনি বাড়ি ফেরত আসেন।
এদিকে ২৭ আগস্ট সেই ৪ লাখ টাকাসহ ঘরের আলমারিতে থাকা নগদ ৬ লাখ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংঙ্কার, সৌদি আরবের মুদ্রা (রিয়েল), মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে রাজিব সিকদার ওরফে ইমনের সঙ্গে পালিয়ে যায় মরিয়ম।
সৌদি প্রবাসী মাছুম রাব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে আমি কোনো দিক দিয়ে অভাবে রাখিনি। জীবিকার তাগিদে প্রবাসে ছিলাম, এটাই কি আমার অপরাধ? সে পালিয়ে যাওয়ার পর ফিরে আসতে বললে সে জানায়, ‘‘আমার সঙ্গে আর সংসার করবে না। আমি যেন তাকে খোঁজার চেষ্টা না করি।’ ’
তার প্রেমিক রাজিব সিকদার ওরপে ইমন আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে বলে, আমার স্ত্রীকে নিয়ে সে সুখে আছে। উপায়ান্তর না পেয়ে আমি ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সরকার বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি। সহকারি উপপুলিশ পরির্দশক (এএসআই) আনোয়ার হোসেনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
ফরিদগঞ্জ থানার সহকারী উপপুলিশ পরির্দশক (এএসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের আলোকে ভিক্টিমের অবস্থান নির্ণয় করতে কাজ চলছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টিবি
Discussion about this post