বগুড়ায় আদালত চত্বরে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় তাকে কান ধরে উঠবস করানো হয়। হিরো আলমের দাবি, বিএনপির লোকজন তার ওপর হামলা চালিয়েছে।
বর্তমানে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আজ রবিবার সকালে তিনি বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করতে গিয়েছিলেন। তিন দফায় জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সময় তাকে মারধর এবং ২০২৩ সালে বগুড়া-৪ আসনে তাকে ষড়যন্ত্র করে হারানো অভিযোগ এনে মামলা করেন হিরো আলম।
হামলার পর হিরো আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মামলা করে নিচে আসার পরে বিএনপির একটা দল আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করায়। এরপরে আমাকে কিল-ঘুষি মেরেছে মুখে ও মাথায়। বুকে ও শরীরের অন্য জায়গায়ও মারে। তাদের অভিযোগ, আমি নাকি কোন বক্তব্যে তারেক জিয়াকে গালিগালাজ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি কখনো তারেক রহমানকে গালিগালাজ করিনি। তাদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে আমি আবার জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরবো।’
হিরো আলম বলেন, ‘ডিবি হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছিল। এই কথা আগেও বলেছি। এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় আপনাদের সামনে পেটানো হলো। যারা এই হামলা করেছে তাদের সবার ফুটেজ আছে। শনাক্ত করে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বগুড়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেদ বলেন, ‘হিরো আলম মামলা করতে এসেছিলেন সরকারি লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিএনপির লোকজনের তাকে মারধর না করে বরং খুশি হওয়ার কথা।’
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘বিএনপির কোন লোকজন তাকে মেরেছে, কারো নাম বলতে পারবেন তিনি? আসলে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই অভিযোগ এনেছেন হিরো আলম। বিএনপির লোকজন তাকে মারেনি।’
টিবি
Discussion about this post