প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সিলেট সফরে বলেছেন, অগ্নি সন্ত্রাসীদের দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সাধারণ মানুষ ভোট চায়, উন্নয়ন চায়। তাই বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধে তারা সাড়া দিচ্ছেন না।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘যারা নির্বাচন করবে না করবে না, কিন্তু আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা… সরকারি সম্পত্তির মালিক জনগণ, নতুন নতুন কোচ কিনে নিয়ে এসেছি, নতুন রেল- সে রেললাইন খুলে খুলে এক্সিডেন্ট করে মানুষ হত্যা করা এটা সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কাজ। সেই সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত জোট। মানুষ পুড়িয়ে মারা কোন ধরনের আন্দোলন? গতকাল বিএনপি যে হরতাল দিয়েছে এই দেশের মানুষ সেটি মানেনি, সাড়াও দেয়নি। তাদের বোঝা উচিত এই দেশের মানুষ ভোট চায়।’
সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বপ্ন একটাই, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো- যে স্বপ্ন আমার মা-বাবা দেখেছিলেন। আমরা নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছি। আজকে শাহজালাল (র.) ও শাহপরান (র.) মাজার জিয়ারত ও এখানে জনসভা করবো। এরপর আরও কয়েকটি জনসভা আমরা করবো। ভিডিও কনফারেন্স করেও আমরা অনেক জেলায় যোগাযোগ রাখবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার একটাই কথা, আওয়ামী লীগ সরকারে এলে জনগণের কল্যাণ হয়। ২০০৯ এ সরকার গঠন করেছিলাম। বাংলাদেশের জনগণ ২০০৯ ও ২০১৮ সালে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল। আজকে এই সিলেটে যে আসছি এখানে এখন আর কোনও ভূমিহীন ও গৃহহীন নেই। প্রত্যেকটা ভূমি ও গৃহহীন মানুষকে আমরা ঘর করে দিয়েছি। মানুষের যে মৌলিক চাহিদা সেগুলো আমরা পূরণ করে যাচ্ছি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, বাংলাদেশের জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি গোটা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করবো। কোনও মানুষ আর ভূমি ও গৃহহীন থাকবে না।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন।
Discussion about this post