বাংলাদেশ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ আমলে আলোচিত-সমালোচিত ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারও রয়েছেন। তাদের অবস্থান নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মস্থলে না আসায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। অনেকে চাকরিও হারাতে পারেন।
এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকাল বুধবার বলেছেন, যেসব পুলিশ সদস্য এখনও কর্মস্থলে ফেরেননি, তাদের আর যোগ দিতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা (ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন) নেওয়া হবে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে মাঠ পর্যায়ের প্রায় সব সদস্য আত্মগোপনে চলে যান। ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশকে কর্মস্থলে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়। ১৪ আগস্টের মধ্যে সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। এর আগে ৭ আগস্ট পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলামও বাহিনীর সদস্যদের ৮ আগস্টের মধ্যে কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, গত ১ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত পুলিশের ১ ডিআইজি, ৭ অতিরিক্ত ডিআইজি, ২ পুলিশ সুপার, ১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৫ সহকারী পুলিশ সুপার, ৫ পুলিশ পরিদর্শক, ১৪ এসআই ও সার্জেন্ট, ৯ এএসআই, ৭ নায়েক ও ১৩৬ কনস্টেবল কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাদের অনেকের নামেই হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে।
এসব পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, মেহেদী হাসান, সঞ্জিত কুমার রায়, খোন্দকার নুরুন্নবী ও জায়েদুল আলমও রয়েছেন।
তথ্যমতে, ১৮৭ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৯৬ জনের ছুটির মেয়াদ শেষ হলেও যোগ দেননি। ৪৯ জন কর্মস্থলে গরহাজির, তিনজন স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন এবং অন্যান্য কারণে ৩৯ জন অনুপস্থিত।
এ ইউ/
Discussion about this post