ঘেরের মাছ চুরির প্রতিবাদ করায় দুইজনকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে আহত করেছে দুই চোর। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধূলিহর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে। অভিযুক্ত দুই চোর সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
আহত দুইজন হলেন- কোমরপুর গ্রামের মো. রফিউদ্দিন সরদারের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৪২) ও একই এলাকার সালাউদ্দিন সরদারের ছেলে আজহারুল সরদার (৩৩)। তারা বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে শহিদুল ইসলামের ঘের থেকে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন দুই চোর। এ সময় কৌশলে তারা পালিয়ে যান। পরের দিন ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান ঘের মালিক শহিদুল। এ সময় মজিত ও তার ছেলে ফরহাদ শহিদুলকে বেধড়ক পিটিয়ে একটি পা ভেঙে দেয়। শহিদুলকে বাঁচাতে আজহারুল এগিয়ে গেলে তাকেও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেয়।
অভিযুক্ত দুইজন হলেন- মো. আব্দুল মজিত (৫২) ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৮)। তাদের নামে একাধিক ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আহত শহিদুল ও আজহারুল সাংবাদিকদের জানান, মজিত ও ফরহাদ দীর্ঘদিন ধরে ঘের থেকে মাছ চুরি করে আসছিল। এজন্য তারা রাত জেগে ঘের পাহারা দিতেন। ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঘেরে মাছ চুরির সময় দেখে ফেলে শহিদুল। ধরতে গেলে তারা ঘেরের আইল পার হয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের বাসায় গেলে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে শহিদুলের ডান পা ভেঙে যায়। তাকে বাঁচাতে গেলে আজহারুলেরও ডান হাত ভেঙে দেয়।ভুক্তভোগীরা বলেন, “হামলার বিষয়টি নিয়ে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিলে আবারও মারধর করার হুমকি দিয়েছে মজিত ও তার ছেলে।”
তারা জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী আদালত(১) এ এই বিষয়ে দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
এস এম/
Discussion about this post