কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, অপারমাণবিক রাষ্ট্রে হামলার ব্যাপারে মস্কো বিবেচনা করবে, যদি পারমাণবিক অস্ত্রোসমৃদ্ধ কোনো দেশ যৌথ হামলায় অংশ নেয়। পুতিন এমন বক্তব্যকে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পুতিন তার বক্তব্যে বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতি রাশিয়া নতুন করে বিবেচনা করবে।
পুতিনের এমন বক্তব্যের পর অনেকেই ধারণা করছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনকে জুড়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। কারণ দেশটিতে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সহযোগিতা নিয়ে কিয়েভ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতি নিয়ে এমন এক সময় মন্তব্য করেছেন, যখন ইউক্রেনে পশ্চিমাদের দেয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইছে।
রুশ নীতির এই পরিবর্তনের বিষয়টি মূলত, পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি রাশিয়ার স্পষ্ট হুমকি। অর্থাৎ পশ্চিমা বিশ্বের দেয়া কোনো অস্ত্র দিয়ে কিয়েভ যদি রাশিয়ায় হামলা চালায় সে ক্ষেত্রে রাশিয়া ইউক্রেন এবং সংশ্লিষ্ট সেই দেশ বা দেশগুলোকে নিজের ওপর আক্রমণকারী বলে বিবেচনা করবে এবং প্রয়োজনে তাদের ওপর পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাবে।
এদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনে তার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ধীর গতিতে হলেও ক্রমেই ইউক্রেনের অভ্যন্তরে আরও এগিয়ে যাচ্ছে। বিপরীতে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা কিয়েভের প্রতি তাদের সমর্থন জোরদার করার চেষ্টা করছে। তবে রাশিয়া এই প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।
এ ইউ/
Discussion about this post