কেউ আমাদের গায়ে হাত তুললে বরদাস্ত করবো, আমাদের গালি দিলে বরদাস্ত করবো, আমাদের বাবা-মাকে গালি দিলে বরদাস্ত করবো আমাদের জোতা পেটা করবে বরদাস্ত করবো। কিন্তু আমার আপনার প্রিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর গালি দিবে, আমরা তা বরদাস্ত করতে পারি না।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রঙ্গনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি শফিউল ইসলাম।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম এর নামে জঘন্য কটূক্তিকারী ভারত মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানেকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে সংগঠনটি।
তিনি মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, অনতিবিলম্বে যারা মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সা.) কে গালি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ৫০টির বেশি মামলা হয়েছে। আপনারা তাদের এখনও গ্রেপ্তার করেননি। তাদের গ্রেপ্তার না করা হলে বাংলাদেশসহ ভারতের মুসলমানরা বসে থাকবে না। ভারতের সমস্ত জেলায়, এলাকায় আপনার বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের বলবো, ভারতের সকল পণ্য বর্জন করতে হবে। ভারতের কোনো পণ্য ব্যবহার করা যাবে না। এটাই হবে ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের শুরু।
বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান হযরত মাওলানা আবু জাফর কাশেমী। তিনি বলেন, মানুষ তার সন্তান, জান, মাল ও নিজের থেকেও আমাদের প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বেশি ভালোবাসেন। এই রসুলের জন্য সারা পৃথিবীর হাজার হাজার মানুষের শাহাদাত বরন করেছেন। যারা রাসুলুল্লাহ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করেছে, তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে সারা বিশ্বের পৌণে ২০০ কোটি মসলমানের মনে আঘাত দিয়েছে।
কিন্তু এই বিষয়ে ভারত সরকার আজ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। যদি তাদের বিরুদ্ধে ভারত সরকার কোনো ব্যবস্থা না নেয় তবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন দেশের ১৮ কোটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, মোদিকে আমি বলতে চাই, দেশের ফ্যাসিস্ট সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মুখে পালিয়ে ভারতে চলে গেছে। আর ভারত সরকার তাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে অশান্তি করতে চায়। আমি ভারতের ছাত্র-জনতাকে আহ্বান করবো, আপনারাও ভারত সরকারকে উৎখাত করতে পদক্ষেপ নেন। আমরা সর্বদা আপনাদের সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা ও সমর্থনকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এম এইচ/
Discussion about this post