আগামী তিন মাসের মধ্যে পুলিশে সংস্কার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন।
তিনি বলেন, প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো পুলিশ আইন সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হবে। এ জন্য তিনমাসের মধ্যে সব পর্যায়ের মানুষের মতামত নেয়া হবে। এরপর সুপারিশ পেলেই শুরু হবে পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠন ও সংস্কারের কাজ।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
সফর রাজ হোসেন বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। গত কয়েকদিন ধরে নিজেরা ইনফরমাল আলোচনা করেছি। আমি কীভাবে কি করব সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করেছি। পুলিশের বিষয়ে প্রচুর পরিমাণে আইনের বই এবং নীতিমালা আমরা সংগ্রহ করেছি। আমাদের সঙ্গে আইন বিশেষজ্ঞও রয়েছেন। এখন আমরা সবাই বসে একটা কর্মপরিকল্পনা করব।
তিনি বলেন, যেভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুলিশ তাদের কার্যপরিকল্পনা করে আমরাও তেমন একটি সুপারিশ করব। যে যে ধারা পরিবর্তন বা সংশোধন লাগবে সেসব বিষয় নিয়ে সুপারিশ থাকবে। আমরা একটি ওয়েবসাইট করারও চিন্তা করেছি। সময় আমাদের অল্প, মাত্র তিন মাস। আশা করছি এই তিন মাসের ভেতরে আমাদের কাজ শেষ হবে।
সংস্কারের কোন জায়গাটায় গুরুত্ব দেয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ১৮৬১ সালের সেই পুলিশ আইনসহ অনেক পুরোনো আইনের তো তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। পুলিশ আইন আধুনিকায়ন করা উচিত। পুলিশ যাতে জনবান্ধব হয় সেটা নিয়ে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের মুখ্য উদ্দেশ্যই যেন হয় জনগণকে সেবা দেওয়া। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশ কীভাবে কাজ করে সে ধারণাগুলো আমরা নেবো। এরপর সংস্কারে সুপারিশ করবো।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব) বলেন, এই পুলিশ সংস্কার কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। তারা যেসব সহযোগিতা চান সব সহযোগিতা দেবে সরকার। বেঁধে দেওয়া সময়ে প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব বলে আশা রাখি।
উল্লেখ্য, জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়েছে।
সফর রাজ হোসেনকে প্রধান করে পুলিশ সংস্কার কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
এ ইউ/
Discussion about this post