কক্সবাজারের পেকুয়ায় আলোচিত শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ হত্যার ঘটনায় পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ওরফে গরু জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক এইচএম সাজ্জাদ হোসেন। এর আগে, শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাটের পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এইচএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারের পর তাকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আনা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম মহানগরের আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে রুবেল খান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে রুবেল অন্যতম। রুবেল এই হত্যাকাণ্ড ও মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।
এছাড়া রুবেলই সরাসরি অপহৃতের স্বজনদের নিকট অপহৃতের মোবাইল থেকে দফায় দফায় কল দিয়ে ৩৫ লাখ ও পরে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুবেলের স্বীকারোক্তি মতে, শিক্ষক হত্যার মূল হোতা গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে পেকুয়া সদরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে অজ্ঞাত ৮-৯জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী জোরপূর্বক শিক্ষক আরিফকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে নিখোঁজের ১৩ দিন পর শুক্রবার (১১ অক্টোবর) অপহৃত শিক্ষকের মরদেহ মিলে তার নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত পুকুরে। শনিবার মাগরিবের নামাজের পর শিক্ষক আরিফের জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এস/এইচ
Discussion about this post