গত মাস পর্যন্ত শীর্ষে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে ৩৬ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগের মাস আগস্টে এসেছিল ২৯ কোটি এবং জুলাইয়ে ছিল ২৪ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির নানামুখী কারণ থাকতে পারে। বড় কারণ হতে পারে– গত ১৯ সেপ্টেম্বর দেশটি এক ধাপে নীতি সুদহার শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশে সুদহার বাড়ছে। আবার বৈদেশিক মুদ্রায় সঞ্চয়ের বিভিন্ন নীতিমালা সহজ হয়েছে। আবার সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্য, সরকার পরিবর্তনের পর হুন্ডি কমাসহ বিভিন্ন কারণে রেমিট্যান্স বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অনেকদিন ধরে শীর্ষ রেমিট্যান্স আহরণকারী দেশ ছিল সৌদি আরব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত শীর্ষে উঠে আসে। অর্থ বছরের, প্রথম তিন মাসের রেমিট্যান্সের মধ্যে ৪০০ কোটি ডলার বা প্রায় ৬২ শতাংশ এসেছে শীর্ষ পাঁচ দেশ থেকে।
অর্থ পাচারের প্রবণতা কমে আসায় এখন খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যাংকের ডলার দরে পার্থক্য কমেছে। ফলে ডলারের দর স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। এতে করে রেমিট্যান্স দ্রুত বাড়ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে গত বুধবার ১৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। আগের মাস একই সময়ে যা কমে ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ যা ৪৮ বিলিয়নের ওপরে ওঠে।
এস/এইচ
Discussion about this post