দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় থাকার পর মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে দেশে ফেরেন ইমন মোল্লা (৭০)। শুক্রবার রাত ১০ টায় মালয়েশিয়া থেকে একটা ফ্লাইটে দেশে ফিরেন তিনি।
কিন্তু ইমন মোল্লা প্যারালাইষ্ট ও মানসিক অসুস্থ হওয়ায় পরিবারের সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারছিলেন না। তার কাছ থেকে পাওয়া পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ইমন মোল্লার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার দিয়ালনাল গ্রামে। তার বাবার মৃত সমীজউদ্দিন মোল্লা ও নসিমন। শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন।
পাসপোর্ট দেওয়া নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। রাতে বিমানবন্দর প্যারালাইষ্ট ও মানসিক অসুস্থ অবস্থায় দেখে বিমানবন্দর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও বিমানবন্দর আর্মড ব্যাটালিয়ান পরিবার খুঁজে হস্তান্তর করার জন্য ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাছে হস্তান্তর করেন।
অবশেষে মানসিক ভারসাম্যহীন ইমন মোল্লা (৭০) তার পরিবার খুঁজে পেয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে তার ছেলে ও স্ত্রীর হাতে তুলে দেয় ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন।
আল আমিন নয়ন বলেন, সবার সহযোগিতায় গতকাল রাতে মালয়েশিয়াফেরত মানসিক অসুস্থ মানিকগঞ্জের ইমন মোল্লা ভাইকে আজ দুপুরে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টার থেকে তার পরিবারের কাছে নিরাপদে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পরিবার খুঁজতে নিরলস ভাবে সহায়তা করায় ব্র্যাক মাইগ্রেশনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিমানবন্দর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ সকলের প্রতি।
নয়ন আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় ছিলেন ইমন মোল্লা। শুক্রবার রাত দশটায় একটা ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফেরেন তিনি। কিন্তু ইমন মোল্লা প্যারালাইসড ও মানসিক অসুস্থ হওয়ায় পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারছিল না। এ অবস্থায় তার পরিবারের সন্ধান পাওয়ার জন্য সামাজিকমাধ্যম ও মিডিয়ায় বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এরপর দুপুরে তার ছেলে ও স্ত্রী আমাদের কাছে কল করেন ও সরাসরি আসেন। আমরা যাবতীয় তথ্য চেক করার পর তাদের হাতে তাকে তুলে দিয়েছি।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার জানান, ইমন মোল্লা তার পাসপোর্টটি মালয়েশিয়া থেকে করেছেন। ফলে ধারনা করা হচ্ছে, তিনি দীর্ঘদিন আগে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন।
এস আর/
Discussion about this post