দিনের শুরুর ধারাবাহিকতায় শেয়ারবাজারের সূচক বাড়লেও বিনিয়োগকারীরা ‘ফোর্সড সেল’ (বাধ্যতামূলক শেয়ার বিক্রি) আতঙ্কে রয়েছেন। সব হারিয়ে তারা প্রায় নিঃস্ব। বিপর্যস্ত এই পুঁজিবাজারকে দেখার যেন কেউ নেই। এমন পরিস্থিতিতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে বিনিয়োগকারীদের দেওয়া ঋণ সমন্বয় করতে ফোর্সড সেল করা হচ্ছে। ফলে, বিনিয়োগকারীরা প্রতিদিন ফোর্সড সেল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিকে নীরব ‘রক্তক্ষরণ’ বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় ফোর্সড সেল বন্ধ না করা হলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে না। চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন ব্যাপক দরপতনের পর আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে। এ সময় লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দামও বাড়ে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, লেনদেনের শুরু থেকেই আজ সূচক বাড়তে থাকে। প্রথম সোয়া দুই ঘণ্টায় ডিএসইএক্স সূচক বেড়ে আবার ৫ হাজার পয়েন্টের ওপরে উঠে যায়। দুপুর সোয়া ১২টার সময় এই সূচক ৫০০৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। গত রোববার ও সোমবারে ব্যাপক দরপতনে ডিএসইর এই সূচক ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গিয়েছিল।
আজ দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে ৩১৩টি দাম বেড়েছে, আর কমেছে ৪৬টির। এ সময় ৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৬০ কোটি টাকা।
গত রোববার ডিএসইএক্স চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের বড় ধরনের মূল্যপতন ঘটে। ওই দিন সূচক প্রায় ১৫০ পয়েন্ট পড়ে যায়, যা ছিল সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার শেয়ারবাজারে এক দিনে সর্বোচ্চ। ওই দিনই ডিএসইএক্স ৫ হাজার পয়েন্টের মাইলফলকের নিচে নেমে যায়। দরপতনের একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মতিঝিলের রাস্তায় বিক্ষোভ করেন একদল বিনিয়োগকারী।
গতকালও শেয়ারবাজারের দরপতন থামেনি। দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগও বাজারের পতন থামাতে পারেনি। ওই দিন ডিএসইএক্স ৬৭ পয়েন্ট বা প্রায় দেড় শতাংশ কমে যায়। তাতে ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
তবে এই ধারা পরিবর্তিত হয়ে সপ্তাহের তৃতীয় দিনে বাজার আবার ইতিবাচক ধারায় ফেরে এবং বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বাড়ে।
এস এইচ/
Discussion about this post