কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বন্যার কবলে পড়েছে স্পেন। এতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে। খবর রয়টার্সের।
নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা এখনো তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উদ্ধারকারীরা আরও মরদেহ উদ্ধারের আশঙ্কা করছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় স্পেনের সহস্রাধিক সেনা সদস্য, আঞ্চলিক ও স্থানীয় জরুরি পরিষেবা কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে। সেখানে অন্তত ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভয়ঙ্কর জলোচ্ছ্বাসে এলাকাজুড়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, গাড়িগুলো পরস্পরের ওপর ভেঙে পড়েছে, গাছপালা উপড়ে গেছে, বিদ্যুতের লাইন ভেঙে গেছে এবং মাটিতে আটকে পড়েছে ঘরের বিভিন্ন সামগ্রী।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হলো মৃতদেহ এবং নিখোঁজদের সন্ধান করা। যাতে তাদের পরিবারের দুঃখ লাঘব করা যায়।
পেদ্রো সানচেজ বৃহস্পতিবার ভ্যালেন্সিয়ায় জরুরি পরিষেবা এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ করেছেন।
ভ্যালেন্সিয়া শহরের নিকটবর্তী পাইপোর্তা শহরেও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শহরটির মেয়র মারিবেল আলবালাত জানান, আমাদের এখানে এমন বন্যা আগে কখনও হয়নি, শহরের কেন্দ্রস্থলে অনেক বয়স্ক মানুষ আটকা পড়েছিলেন।
বন্যার ভয়াবহতা দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কাস্তিয়া লা মানচা অঞ্চলে দুইজন এবং আন্দালুসিয়ার দক্ষিণে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
আন্দালুসিয়ায় মঙ্গলবার রাতে একটি দ্রুতগামী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে ৩০০ যাত্রীর কেউই আহত হননি।
বন্যায় স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলের কিছু এলাকা এবং কাতালোনিয়ার ত্যারাগোনা অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি করেছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কাদিজের জন্য কমলা সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
এ ইউ/
Discussion about this post