প্রতিদিনই বিশ্বের বড় বড় শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। শনিবার (২ নভেম্বর) বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। একই সময়ে ভারতের মুম্বাইসহ তিনটি শহর বায়ুদূষণে শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। এছাড়া মেগাসিটি ঢাকা আজ শীর্ষ বায়ুদূষণের শহরের তালিকায় ১০ নম্বরে অবস্থান করছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরের এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ২০টি শহরের মধ্যে বাতাসের মানসূচকে ৬৩ স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান দশম। ঢাকার বাতাস আজ জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর ১০৬৭ স্কোর নিয়ে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। লাহোরের বাতাস আজ জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘খুবই বিপজ্জনক’। দূষিত বায়ুকে ‘বিষ’ হিসেবে বিবেচনা করে আজ লাহোরের বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থান রয়েছে ভারতের কলকাতা, যার স্কোর ২৫৩; আর ২৩৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতেরর আরেক শহর দিল্লি এবং ১৯৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ভারতের মুম্বাই শহর। এছাড়া ১৮১ স্কোর নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে উজবেকিস্তানের তাশখন্দ।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে থাকে।
লাহোরের বাতাস আজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ বায়ু সেবন যেকোনো মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। বায়ুদূষণের যে অবস্থা সেখান থেকে সুরক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার। এরমধ্যে আছে বাইরে বের না হওয়া। বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা, খোলা স্থানে ব্যায়াম না করা এবং জানালা বন্ধ করে রাখা।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন -বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
এস এইচ/
Discussion about this post