সারাদেশে গত ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে সরকার নিষেধাজ্ঞা দিলেও ক্রেতা বিক্রেতা কেউ তা মানছে না। তারা বলছেন, পলিথিনের বিকল্প সামগ্রী সহজলভ্য না হওয়ায় হঠাৎ করেই এ নিয়ম মানা যাচ্ছে না। এ ছাড়া অনেক দোকানে পলিথিনের বিকল্প পাটের বা কাপড়ের ব্যাগও পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিথিন জাতীয় ব্যাগ অবাধে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এমন অবস্থায় আজ থেকে বাজারে অভিযান চালানো হবে। এতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সরকার বার্তা দিতে চাইছে যে এবার পলিথিন বন্ধে আর ছাড় দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে যদি দ্রুত পলিথিনের বিকল্প তৈরি করা যায় তাহলে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ বন্ধ করা সহজ হবে। আর বাজারে পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দেয় পরিবেশ বন ও জলবায় মন্ত্রণালয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয় সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম। মন্ত্রণালয় বলেছে, এই নির্দেশ যারা অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। অথচ আজ ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অবাধে চলছে পলিথিনের ব্যবহার।
ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ এবং বিকল্প ব্যাগের পর্যাপ্ত সরবরাহ করা না হলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হবে না। বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে এ বিষয়ে প্রচার চালিয়েছে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে অভিযান পরিচালনার কোনো খবর জানা যায়নি।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন বা পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়– কোনো সুপারশপ যদি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ইউ/
Discussion about this post