দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিন অফিস করলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। কেমন কাটল প্রথম দিনের সরকারি গুরুদায়িত্ব? কেমন পেয়েছেন টিমমেট? কী কী করতে চান অদূর ভবিষ্যতে? এমন নানা বিষয়ে প্রশ্ন এলো সাংবাদিকদের তরফে। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেলেন ফারুকী।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফারুকী বলেন, গতকাল (রবিবার) পর্যন্ত উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার বিষয়ে ‘না’তে ছিলাম।
পরে এসে হ্যাঁ বললাম। কারণ, আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই। সবচেয়ে বড় কথা হলো, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে কাজ করতে চাই। ব্যক্তিগত কাজের সূত্রে আগে থেকেই তার কাজের ধরনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলেও জানান ফারুকী।
তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান সফল না হলে আজ হয়তো আমি জেলে থাকতাম। তবে, উপদেষ্টা হবার মতো কোনো লক্ষ্য থেকে ফ্যাসিবাদের বিরোধিতা করিনি। আমি শিল্পী, যখন যেটা খারাপ মনে হয় বলে যাবো। শিল্পীর কোনো দল নেই।’
এ সময় বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে তিশার অভিনয় নিয়েও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন আসে। ফারুকী বলেন, তিনি আপাতত এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান না।
বিগত দিনে নিজের বেশ কয়েকটি লেখার কথা উল্লেখ করে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু লেখার কারণে কেউ কেউ আমাকে কখনো জামায়াত-শিবির বানিয়েছে। কখনো অন্য দল। কিন্তু অনেকে ভাবেনি, একটা লোককে কোনো দল নিজেদের ভাবছে না কেন? কারণ, আমি কোনো দলেরই না।’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিজের ওপর আসা চাপের দু-একটি উদাহরণও দেন ফারুকী। বলেন, ‘একটি লেখার জন্য আমার সব ট্যাক্সের ফাইল ধরে তদন্ত শুরু হয়েছিল। তিশা ও আমাকে তদন্তের মুখোমুখি করা হয়েছিল।
ফারুকী বলেন, যত দিন দায়িত্বে থাকব, কিছু কাজ করে যেতে চাই। আর যদি না পারি, তাহলে যখন চলে যাব, তখন বলব যে আমি ব্যর্থ। আমি যে টিম পেয়েছি, তা দুর্দান্ত। সবার সহযোগিতায় ভালো কিছুর প্রত্যাশাই করছেন তিনি।
এ ইউ/
Discussion about this post