বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে চায় না, তারা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এখন দেশের কৃতি সন্তান ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমরা জানি তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু দেখা গেলো যে, যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ। তারা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে লঙ্কায় যায় সেই রাবণ হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এরই মধ্যে সরকারের উপদেষ্টা পদে আওয়ামী ঘরানার বিভিন্ন লোক ঢুকে গেছে। ছাত্ররা আমাদের সন্তানের মতো, তাদের কার্যক্রম দেখলে মনে হয়, দেশটা তারাই স্বাধীন করেছে আর কেউ জীবন দেয়নি। বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর হাজারো নেতাকর্মী জীবন দিলো তাদের হিসাব-নিকাশ কে করবে?
‘শুধু নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ভোট কি এত সোজা? ভোট তো গণতন্ত্রের প্রতীক। ভোটের জন্যই তো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ২৪ সালে লড়াই তো হয়েছে বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান। আর তারা বলে, নির্বাচনের জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। তাহলে কীসের জন্য যুদ্ধ, এত আত্মত্যাগ? ভোট কি এতই হেলাফেলার বস্তু?
হাফিজ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়। তারা হয়তো ভাবে- দু-একটা মিছিল করলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে, এগুলো তাদের গুরুরা হয়তো শেখায়।’
এ ইউ/
Discussion about this post