রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা নাম ইসমাঈল হোসেন রাহাত (১৭)। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কাকরাইল অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শান্তিবাগ রবিউলের বিরিয়ানি দোকানের সামনে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্বজনরা শান্তিবাগের বাসায় নিয়ে যায়। রাতে অবস্থার অবনতি হলে কাকরাইলের ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যান। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
মৃত রাহাতের মামা মইন উদ্দিন জানান, তাদের বাড়ি ফরিদপুর কোতয়ালীর ঘাটপাড়া গ্রামে। বর্তমানে শাহজাহানপুর শান্তিবাগ এসি মসজিদ গলি এলাকায় ভাড়া থাকেন। রাহাত রাজারাবাগ পুলিশ লাইন স্কুল কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করে ফরিদপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের অধ্যয়ন করছিলো। সোমবার বিকালে শান্তিবাগ বাসার কিছুটা দূরে রাহাতের স্কুলের সহপাঠীরা মারপিট করে ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় রাহাতকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় নেয়া হয়। রাতে হঠাৎ রাহাতের অবস্থা খারাপ হলে কাকরাইলের অরোরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়। এক ভাই এক বোনের মধ্যে রাহত ছিল বড়। রাহাতের বাবা বেলায়েত হোসেন পেশায় প্রাইভেটকার চালক।
সোমবার ঢাকা মেডিকেলে আহত রাহাত জানিয়েছিল, রাজারবাগ স্কুলে থাকা কালীন সহপাঠী হাসান, হোসেন ও হিমেল তাকে সিনিয়র হিসেবে সম্মান দিতে বলতো। কিন্তু আমি তাদের কথা শুনি নাই। এর জের ধরে হাসান, হোসেন দুই ভাইসহ হিমেল ও তন্ময়সহ আরও কয়েকজন শান্তিবাগে আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে পিঠের দুই জায়গায় ছুরিকাঘাত করে।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম জানান, ৬ মাস আগে শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে বিবাধের ঘটনার সূত্র ধরেই হামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনের মধ্যে ৩ জন রাজারবাগ স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
এ ইউ/
Discussion about this post