চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সারা দেশে বিস্ফোরণ ও জরুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার খবর দিয়েছেন জাতীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তারা। এর ফলে দেশটির কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী হারমান হালুশচেঙ্কো ফেসবুকে লিখেছেন, শত্রুর বিশাল আঘাত আবারও জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এই হামলার কারণে ইউক্রেনের জাতীয় গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো জরুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার ঘোষণা দিয়েছে।
ইউক্রেনের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি ডিটিইকে জানিয়েছে, এই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও ওডেসা, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে প্রভাব ফেলেছে।
এর আগে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ১০টি বৃহৎ আঘাত হেনেছিল রাশিয়া। এর ফলে পুরো সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শীতের আগে দীর্ঘ সময়ের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিভনে অঞ্চলে মিসাইল হামলার সময় গভর্নর ওলেক্সান্ডার কোভাল বলেন, ২ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার শিকার হন। পানির সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার কথাও জানান তিনি। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী সারা দেশে বিমান হামলার সতর্ক সংকেত জারি করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় এমন সতর্কতা দেয়া হয়।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সাম্প্রতিক দিনে ইউক্রেনে দেড় হাজার বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সারা দেশের অর্ধেক অঞ্চলে এসব হামলা হয়েছে।
এ ইউ/
Discussion about this post