নির্বাচনী জনসভা করতে ফরিদপুরে আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে অংশ নিতে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছে নেতা-কর্মীরা। বেলা ৩টায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনসভাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনী। মাঠে প্রবেশ করার জন্য পাঁচটি গেট তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি গেটে অবস্থান করছে পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকেরা। এদিকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি তেমন দেখা না গেলেও দুপুর ১২টা থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া এ সময় থেকে জনসভার মাঠে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও বাড়তে শুরু করেছে। সবাইকে তল্লাশির পর তবেই মাঠে ঢোকানো হচ্ছে।
এ সময় জনসভায় আগত নেতা-কর্মী ও জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে অনেক প্রত্যাশার কথা জানা যায়। তারা বলছেন, ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন ও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর থেকে আশা করছেন।

জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি কাজী সোবহান বলেন, ‘অসাধারণ মানুষ যখন সাধারণের কাছে আসে তখন আনন্দটা একটু বেড়ে যায়। আমরা ফরিদপুরের চারটি আসন থেকে তাঁকে নৌকা উপহার দিতে চাই। আমাদের কিছু প্রত্যাশা আছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে, ফরিদপুরকে আমরা বিভাগ হিসেবে দেখতে চাই। এ ছাড়া এ জেলায় একটি সম্মানজনক বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রত্যাশা।’
মাঠে প্রবেশ করতে দেখা যায় ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমানকে। এ সময় তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নিশ্চয়ই নৌকার বিজয় হবে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন। আজ তিনি ফরিদপুরের আসছেন, ফরিদপুরবাসী আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন। তাঁকে একনজর দেখার জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন উপলক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট চাইবেন। আমরা আশা করি, তাঁর কথার ওপর ভিত্তি করে ফরিদপুরের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরে পৌঁছাবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে এসেই মধ্যাহ্নভোজ করবেন। পরে বেলা ৩টায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এফএস/
Discussion about this post