সাবেক সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তবে সেখানে তিনি খুব বেশি মর্যাদা পাচ্ছেন না। বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে মস্কোতে যাওয়ার পর তার বা তার পরিবারের কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হতে দেখা যায়নি।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, বাশার আল-আসাদের সঙ্গে দেখা করার কোনো পরিকল্পনা নেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। সিরিয়ার দূতাবাসের সদস্যরাও নিশ্চিত করেছেন যে, আল-আসাদ মস্কোতে আছেন। কিন্তু তারা জানিয়েছেন যে, তিনি কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এসব কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, তারা সিরিয়ার নতুন সরকারের প্রতিনিধিদের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছেন।
রাশিয়ার জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সিরিয়ায় তাদের সামরিক ঘাঁটির কী হবে? যদিও সিরিয়ার বিরোধী নেতারা লাতাকিয়া এবং টারতুসে রাশিয়ার বিমান ও নৌ ঘাঁটির পাশাপাশি দেশটিতে রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনগুলোর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মূলত দেশটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। এমনকি, আসাদ সরকারের পতনের পর গোলান মালভূমির সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত এলাকা ‘দখলে’ নিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি, বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর চরমপন্থিদের নিষ্ক্রিয় ও তেল আবিবের নিরাপত্তা নিশ্চিতেই তারা এসব পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের এমন হামলা ও গোলান মালভূমির সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত এলাকা ‘দখলে’ নেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার, সৌদি আরব ও ইরাক।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইসরায়েলি বাহিনী নিজেদের ইতিহাসে সিরিয়ায় সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি ইসরায়েলি আর্মি রেডিওকে জানিয়েছে, গত দুইদিনে রাজধানী দামেস্কসহ সিরিয়ায় ২৫০টিরও বেশি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।
সূত্রঃ আল জাজিরা
এ ইউ/
Discussion about this post